Wednesday, February 14, 2018

কাফির-মুশরিকদের প্রবর্তিত ভ্যালেন্টাইন ডে



কাফির-মুশরিকদের প্রবর্তিত ভ্যালেন্টাইন ডে ছেড়ে ভ্যালেন্টাইন উইক পালন করছে নামধারী মুসলমানেরা।
 নাউজুবিল্লাহ।
 আর একাজে বাধা দেয়ার কথা ছিলো সকল আলিম-ওলামাদের। কিন্তু তা না করে তারা চুপ থেকে উলটো সমর্থন করে যাচ্ছে। নাউজুবিল্লাহ! এরা যে ধর্মব্যবসায়ী সেটাই এসবের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়। 
আগে শুধু ভ্যালেন্টাইন’স ডে পালিত করত ১৪ই ফেব্রুয়ারীতে। এখন সপ্তাহব্যপী পালিত হচ্ছে ভ্যালেন্টাইন’স সপ্তাহ। টেডি ডে ,প্রপোজ ডে , হাগ ডে , কিস ডে, চকলেট ডে, রোজ ডে সহ বিভিন কুফরী হারাম দিবস। নাউজুবিল্লাহ!
সাত দিন ব্যাপী বিভিন্নভাবে অবৈধ কার্যকলাপ করছে।আর অবাধ যৌনাচারে মিলিত হয়ে অবৈধ সন্তান পয়দা করছে।গর্ভপাত ঘটাচ্ছে। নাউজুবিল্লাহ!
এখন আপনি চিন্তা করুন আপনার বোন আপনার সন্তান যদি এসব অবৈধ সম্পর্ক করে জিনা করে তাহলে আপনার কেমন লাগবে? নিশ্চয়ই অনেক খারাপ লাগবে? তাহলে নিজের বোনের ক্ষেত্রে খারাপ লাগলে আপনি কীভাবে অন্যের বোনের সাথে এসব কাজে লিপ্ত হচ্ছেন? আসুন ব্যক্তিগতভাবে এই হারাম থেকে সরে আসি।
আল্লাহ পাক বলেন, নেককার পুরুষের জন্য নেককার স্ত্রী থাকবে আর বদকার পুরুষের জন্য বদকার। আপনি এখন কি করবেন সেটা আপনার উপরে।
এই যে ভাইয়া ও আপুরা! শুনুন আপনি কি জাহান্নামী হতে চান? আপনার এই সুন্দর শরীরে সামান্য আগুনের উত্তাপ , শীতের প্রকোপ সহ্য হয়না তাহলে কীভাবে জাহান্নামের আযাব সহ্য করবেন? সামান্য দুনিয়ার ভোগবিলাসের জন্য কি নিজেকে জাহান্নামী বানাবেন ভাইয়া/আপু?
কাফির, মুশরিক, হিন্দু, বৌদ্ধ, ইহুদী, নাছারা, বিধর্মীদের অনুসরণ করা হারাম। পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে এ সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে-
إِنَّ شَرَّ الدَّوَابِّ عِنْدَ اللَّـهِ الَّذِينَ كَفَرُوا فَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ
অর্থ: নিশ্চয়ই সমস্ত প্রাণীর মাঝে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট কাফিররাই নিকৃষ্ট, যারা ঈমান আনেনি। (পবিত্র সূরা আনফাল শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৫)
অন্যত্র ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
وَلَا تُطِعِ الْكَافِرِينَ وَالْمُنَافِقِينَ
অর্থ: তোমরা কাফির ও মুনাফিকদের অনুসরণ করো না। (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৮৪)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عن حضرت عمرو بن شعيب عن أبيه عن جده رضى الله تعالى عنهم أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ليس منا من تشبه بغيرنا
অর্থ: হযরত আমর ইবনে শুয়াইব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পিতা থেকে বর্ণনা করেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন এ ব্যক্তি আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয় যে বি
জাতীদের সাথে সাদৃশ্য রাখে। (মিশকাত শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবার হয়েছে-
عَنْ حَضَرَتْ ابْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে, সে তাদের দলভুক্ত অর্থাৎ তার হাশর-নশর তাদের সাথেই হবে। (সুনানে আহমদ শরীফ, সুনানে আবূ দাউদ শরীফ)
আসুন আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করে থাকলে ও মুসলমান হয়ে থাকলে আমরা এসব কুফরী দিবস থেকে বেঁচে থাকি। আমীন।

No comments:

Post a Comment