Wednesday, February 21, 2018

বিশ্বের ১০ টি নান্দনিক মসজিদ। Top 10 Islamic Buildings in the World (Islamic Architecture Mosques)


The beautiful Islamic culture is defined by some of the most amazing architectural works in the world. Muslim architecture covers a wide range of structures from forts, tombs, mosques, and palaces. These fascinating structures are found in nations conquered by the Muslims back in the 7th century. Their type of architecture incorporates various architectural styles which include; Byzantine, Indo- Islamic, Sino- Islamic, Indonesian – Malay, Persian, Somali – Islamic and Sahelian- Islamic. These structures attract visitors from around the globe. Here are some of the best...

10 Badshahi Mosque

Located in Lahore, Pakistan. The mosque is one of the famous tourist attractions in Pakistan due to its outstanding beauty. The design blends Islam, Persian and Central Asian architectural styles. The exterior is magnificently decorated with stone carving and marble.

9) Al-Azhar Mosque

The first mosque to be built in the newly established capital Cairo, Egypt. It was primarily designed to be a center for spiritual nourishment to the new Islam converts in ancient Egypt and hence gained the name “City of a Thousand Minarets.” The mosque is of great importance to the Muslim society as it is linked to prophet Muhammad’s daughter Fatimah.

8) Süleymaniye Mosque

Built around 1550 and 1557 by the Ottoman emperor Suleyman. It’s the largest and arguably the most beautiful mosques in Istanbul. The mosque’s interior receives light from more than 100 large stained glass windows. The central dome stands 47m high.

7) Mosque of Córdoba

Located in the heart of Spain. The mosque took the site of a Christian church. The mosque has some outstanding features which include a remarkable 850 columns made marble, Jasper, and porphyry supporting arches. In addition to this are the richly decorated mihrab and a niche in a mosque pointing the holy city of Meca.

6) Citadel of Aleppo

Located in the Syrian city Aleppo. The structure is considered to be one of the largest palaces in the world and dates back to the third millennium BC. The hill upon which the palace is located is of spiritual importance to the Muslims as it is believed that's where Abraham, one of their great prophets, milked his sheep. The palace was used as barracks during the Ottoman empire. A residence, stores and defensive machinery are found behind the walls.

5) Great Mosque of Samarra

Located in Iraq and was built during the reign of Abbasid caliph Al- Mutawakkil around 850. It is probably the most significant mosque in the world having a total area of about 42 acres. The minaret which is 52 meters survived during the Mongolian and Hulagu invasion.

4) Dome of the Rock

Located in Jerusalem, Israel. It is one of the famous and adored Islamic monuments. Built about 55 years after the Arab conquered Jerusalem. The design and ornamentation are linked to the Byzantine architectural style. The site is sacred to both Muslims and Jews; in Islamic culture, it is considered to be a place where prophet Muhamad ascended to heaven, whereas for the Jews it is believed to be where Abraham was to sacrifice Isaac, his son.

3) Jameh Mosque of Isfahan

The mosque is located at the center of Isfahan, Iran. The mosque is one of the oldest buildings in the 8th century during the Seljuk Dynasty. Although the building has undergone renovations one of the oldest elements still standing are the two domes.

2) Alhambra

Located on a hill overlooking the Spanish city of Grenada. Built in the 14th by the  Nasrid dynasty.Most portions of the buildings were destroyed, and however, three parts remain, i.e., the fortress, the royal residence, a cluster of pavilions and gardens.

1) Taj Mahal

Built in 1631, during the reign of emperor Shah Jahan. The building has a quite a fascinating history in that its commission came after the third and favorite wife of Mughal died while delivering their fourteenth child. The mausoleum complex took two decades to complete and is outstanding for its size. The dome at the apex of the central mausoleum stands 73 meters above the ground. This is such a remarkable height in a period where building technology was not that advanced.
It is clear that Islamic society has great and beautiful architectural works. These great works of architecture are an inspiration to the modern world and a source of vast historical knowledge.

পীর মুরীদী এবং মাজার সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর


প্রশ্ন:

কুরআন ও হাদীসের আলোকে পীর ও মাজার সম্পর্কে জানাবেন। কৃতজ্ঞ থাকেবো।


জবাব:


بسم الله الرحمن الرحيم
পীর-মুরীদ কাকে বলে?

পীর শব্দটি ফার্সি। আরবীতে বলা হয় মুরশীদ। মুরশীদ শব্দের অর্থ হল পথপ্রদর্শক। যিনি আল্লাহর আদেশ নিষেধ আল্লাহ তাআলা যেভাবে চান সেভাবে পালন করার প্রশিক্ষণ দেন তার নাম মুরশীদ বা পথপ্রদর্শক। যাকে ফার্সীতে বলে পীর।
“মুরীদ” শব্দটিও আরবী। যার অর্থ হল ইচ্ছাপোষণকারী। যে ব্যক্তি আল্লাহর আদেশ নিষেধ আল্লাহ তাআলা যেভাবে চান সেভাবে পালন করার ইচ্ছা পোষণ করে কোন বুযুর্গ ব্যক্তির হাত ধরে শপথ করে, সে ব্যক্তির নাম হল “মুরীদ”।
এ ব্যাখ্যা থেকে একথা স্পষ্ট হল যে, পীর হবেন শরীয়তের আদেশ নিষেধ পালন করার প্রশিক্ষণদাতা। আর যিনি সে প্রশিক্ষণ নিতে চায় সে শিক্ষার্থীর নাম হল “মুরীদ”।
সুতরাং যে ব্যক্তি নিজেই শরীয়তের বিধান মানে না, নামায পড়ে না, পর্দা করে না, সতর ঢেকে রাখে না বা শরীয়তের আবশ্যকীয় কোন বিধান পালন করে না, সে ব্যক্তি কিছুতেই পীর তথা মুর্শীদ হতে পারে না। কারণ তার নিজের মাঝেই যখন শরীয়ত নেই, সে কিভাবে অন্যকে শরীয়তের উপর আমল করা প্রশিক্ষণ দিবে? নিজেইতো প্রশিক্ষিত নয়।
আর পীর মুরীদির এ পদ্ধতি রাসূলপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে চলে আসছে। রাসূলপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু আল্লাহপাক মুখী হওয়ার প্রশিক্ষণ দিতেন। সাহাবারা রাসূলপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিতেন। বলা যায় রাসূলপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হলেন সবচে’ প্রথম ও বড় পীর, ও সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হলেন প্রথম মুরীদ।
কুরআন শরীফ ও হাদীস শরীফে পীর মুরিদীর প্রমাণ
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَكُونُوا مَعَ الصَّادِقِينَ (119
অনুবাদ-হে মুমিনরা! আল্লাহকে ভয় কর, আর সৎকর্মপরায়নশীলদের সঙ্গী হয়ে যাও। {সূরা তাওবা-১১৯)
এ আয়াতে কারীমায় সুষ্পষ্টভাবে বুযুর্গদের সাহচর্যে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ (6) صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ
অনুবাদ-আমাদের সরল সঠিক পথ [সীরাতে মুস্তাকিম] দেখান। আপনার নিয়ামতপ্রাপ্ত বান্দাদের পথ। {সূরা ফাতিহা-৬,৭}
সূরায়ে ফাতিয়ায় মহান রাব্বুল আলামীন তাঁর নিয়ামাতপ্রাপ্ত বান্দারা যে পথে চলেছেন সেটাকে সাব্যস্ত করেছেন সীরাতে মুস্তাকিম।
আর মহান আল্লাহপাক উনার নিয়ামত প্রাপ্ত বান্দা হলেন-
الَّذِينَ أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ مِنَ النَّبِيِّينَ وَالصِّدِّيقِينَ وَالشُّهَدَاءِ وَالصَّالِحِينَ
অনুবাদ:-  যাদের উপর আল্লাহ তাআলা নিয়ামত দিয়েছেন, তারা হল নবীগণ, সিদ্দীকগণ, শহীদগণ, ও নেককার বান্দাগণ। {সূরা নিসা-৬৯}
এ দু’ আয়াত একথাই প্রমাণ করছে যে, নিয়ামতপ্রাপ্ত বান্দা হলেন নবীগণ, সিদ্দীকগণ, শহীদগণ, আর নেককারগণ, আর তাদের পথই সরল সঠিক তথা সীরাতে মুস্তাকিম। অর্থাৎ উনাদের অনুসরণ করলেই সীরাতে মুস্তাকিমের উপর চলা হয়ে যাবে।
যেহেতু আমরা রাসূলপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখিনি, দেখিনি সিদ্দীকগণও, দেখিনি শহীদ উনাদের। তাই আমাদের সাধারণ মানুষদের কুরআন  শরীফ,  সুন্নাহ শরীফ থেকে বের করে সীরাতে মুস্তাকিমের উপর চলার চেয়ে একজন পূর্ণ শরীয়তপন্থী হক্কানী বুযুর্গের অনুসরণ করার মাধ্যমে সীরাতে মুস্তাকিমের উপর চলাটা হবে সবচে’ সহজ। আর একজন শরীয়ত সম্পর্কে বিজ্ঞ আল্লাহ ওয়ালা ব্যক্তির অনুস্বরণ করার নামই হল পীর মুরিদী।
রাসূলে কারীম রাসূলপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একাধিক স্থানে নেককার ব্যক্তিদের সাহচর্য গ্রহণ করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। যেমন-
عن أبي موسى رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه و سلم قال ( مثل الجليس الصالح والسوء كحامل المسك ونافخ الكير فحامل المسك إما أن يحذيك وإما أن تبتاع منه وإما أن تجد منه ريحا طيبة ونافخ الكير إما أن يحرق ثيابك وإما أن تجد ريحا خبيثة
অনুবাদ-হযরত আবু মুসা রাঃ থেকে বর্ণিত।রাসূলপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেছেন-সৎ সঙ্গ আর অসৎ সঙ্গের উদাহরণ হচ্ছে মেশক বহনকারী আর আগুনের পাত্রে ফুঁকদানকারীর মত। মেশক বহনকারী হয় তোমাকে কিছু দান করবে কিংবা তুমি নিজে কিছু খরীদ করবে। আর যে ব্যক্তি আগুনের পাত্রে ফুঁক দেয় সে হয়তো তোমার কাপড় জ্বালিয়ে দিবে, অথবা ধোঁয়ার গন্ধ ছাড়া তুমি আর কিছুই পাবে না। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫২১৪, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৬৮৬০, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৩১৯০, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪৮৩১, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৫৬১, মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদীস নং-৪২৯৫, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৯৬৬০, মুসনাদুল হুমায়দী, হাদীস নং-৭৭০, মুসনাদুশ শামীন, হাদীস নং-২৬২২, মুসনাদুশ শিহাব, হাদীস নং-১৩৭৭, মুসনাদে তায়ালিসী, হাদীস নং-৫১৫}
এছাড়াও অনেক হাদীস শরীফে নেককার ও বুযুর্গ ব্যক্তিদের সাহচর্য গ্রহণের প্রতি তাগিদ বহন করে। আর সবচে’ বড় কথা হল-বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষই পবিত্র দ্বীন ইসলাম বিমুখ। যারাও দ্বীনমুখী, তাদের অধিকাংশই কুরআন হাদীসের আরবী ইবারতই সঠিকভাবে পড়তে জানে না, এর অর্থ জানবেতো দূরে থাক। আর যারাও বাংলা বা অনুবাদ পড়ে বুঝে, তাদের অধিকাংশই আয়াত বা হাদীসের পূর্বাপর হুকুম, বা এ বিধানের প্রেক্ষাপট, বিধানটি কোন সময়ের জন্য, কাদের জন্য ইত্যাদী বিষয়ে সম্যক অবহিত হতে পারে না। তাই বর্তমান সময়ে একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে কুরআন সুন্নাহ থেকে নিজে বের করে আল্লাহ তাআলার উদ্দিষ্ট সীরাতে মুস্তাকিমে চলা বান্দার জন্য কষ্টসাধ্য। তাই আল্লাহ তাআলা সহজ পথ বাতলে দিলেন একজন বুযুর্গের পথ অনুসরণ করবে, তো সীরাতে মুস্তাকিমেরই অনুসরণ হয়ে যাবে।
কিন্তু কথা হচ্ছে যার অনুসরণ করা হবে সে অবশ্যই সীরাতে মুস্তাকিমের পথিক হতে হবে। অর্থাৎ লোকটি {মুরশীদ বা পীর} এর মাঝে থাকতে হবে শরীয়তের পূর্ণ অনুসরণ। বাহ্যিক গোনাহ থেকে হতে হবে মুক্ত। কুরআন সুন্নাহ সম্পর্কে হতে হবে প্রাজ্ঞ। রাসূলপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাতের উপর হতে হবে অবিচল। এমন গুনের অধিকারী কোন ব্যক্তি যদি পাওয়া যায়, তাহলে তার কাছে গিয়ে তার কথা মত দ্বীনে শরীয়ত মানার নামই হল পীর মুরিদী। এরই নির্দেশ আল্লাহ তাআলা কুরআনে দিয়েছেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَكُونُوا مَعَ الصَّادِقِينَ (119
অনুবাদ-হে মুমিনরা! আল্লাহকে ভয় কর, আর সৎকর্মপরায়নশীলদের সাথে থাক। {সূরা তাওবা-১১৯)
বিঃদ্রঃ আখেরাতে নাজাত পাওয়ার জন্য মুরীদ হওয়া জরুরী নয়। তবে একজন হক্কানী পীরের কাছে মুরীদ হলে শরীয়তের বিধান পালন ও নিষিদ্ধ বিষয় ছেড়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে নিষ্ঠা আসে মুরুব্বীর কাছে জবাবদিহিতা থাকার দরুন। সেই সাথে আল্লাহর ভয়, ইবাদতে আগ্রহ সৃষ্টি হয়। পক্ষান্তরে বেদআতি, ভন্ড, মাজারপূজারী, বেপর্দা পীরের কাছে মুরিদ হলে ঈমানহারা হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ করে আটরশী, দেওয়ানবাগী, কুতুববাগী, মাইজভান্ডারী, রাজারবাগী, ফুলতলী, মানিকগঞ্জী, কেল্লাবাবা ইত্যাদী পীর সাহেবের দরবারে গেলে ঈমানহারা হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সাবধান পীর নির্ধারণের ক্ষেত্রে।
প্রসঙ্গ মাযার
“মাযার” শব্দটি আরবী। বাংলা অর্থ হল যিয়ারতের স্থান। যে স্থানকে যিয়ারত করা হয়, তার নামই মাযার। মুসলমানের কবর যিয়ারত করা জায়েজ। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-
عن ابن بريدة عن أبيه قال قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم- « نهيتكم عن زيارة القبور فزوروها فإن فى زيارتها تذكرة
অনুবাদ-হযরত ইবনে বুরাইদা রাঃ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। রাসূলপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন-আমি তোমাদের কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলা, এখন যিয়ারত কর। [কোন সমস্যা নেই।]। কেননা কবর যিয়ারত মৃত্যুকে স্মরণ করে দেয়। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৭০০, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৩০৫, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৫৭১, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৬৯}
কবর যিয়ারত করা ছাড়া কবর তথা মাযার ঘিরে আরো যত কাজ করা হয়, তা সবই বিদআত। এসব করা জায়েজ নেই। যেমন-
১-মাযার ঘিরে উরস করা।
২-মাযারে বাতি প্রজ্বলন করা
২-মাযারে মান্নত মানা।
৩-মাযারে গিয়ে দুআ করা। মৃত ব্যক্তির কাছে নিজের প্রয়োজন পূর্ণ করে দেওয়ার আবেদন করা।
৪-মাযারে শিন্নি পাকানো ইত্যাদী সকল কাজই বিদআত ও শরীয়ত গর্হিত কাজ। এসব করা খুবই গোনাহের কাজ। এসবের কোন ভিত্তি ইসলামে নেই। সম্পূর্ণ হারাম এ সকল কাজ।
মাযার ঘিরে উরস করা
স্বীয় কবরকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠান করাকে নিষিদ্ধ করে আল্লাহর নবী ইরশাদ করেন-
عن أبى هريرة قال قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم- « لا تجعلوا بيوتكم قبورا ولا تجعلوا قبرى عيدا وصلوا على فإن صلاتكم تبلغنى حيث كنتم (سنن ابى داود-كتاب المناسك، باب زيارة القبور، رقم الحديث-2044
“তোমরা স্বীয় ঘরকে কবর বানিয়োনা। (অর্থাৎ কবরের ন্যায় ইবাদত-নামায, তেলাওয়াত ও যিকির ইত্যাদি বিহীন করনা।) এবং আমার কবরে উৎসব করোনা।(অর্থাৎ বার্ষিক, মাসিক বা সাপ্তাহিক কোন আসরের আয়োজন করনা। তবে হ্যাঁ আমার উপর দুরূদ পাঠ কর। নিশ্চয় তোমরা যেখানেই থাক না কেন তোমাদের দরূদ আমার নিকট পৌঁছে থাকে।(আল্লাহ তায়ালার ফেরেশতারা পৌঁছিয়ে দেন।)” (সুনানে আবু দাউদ: হাদিস নং-২০৪৪/৪০)
এখানে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে- রাসূলপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ রওযা মুবারকে উৎসব (উরস) পালন করতে বারণ করেছেন। তাহলে অন্য কে আর এমন আছে যার কবরে তা বৈধ হবে?
হাদিসের বিখ্যাত ব্যাখ্যাকার আল্লামা মুনাভী রহঃ এই হাদিসের ব্যাক্ষা করতে গিয়ে বলেন-
قال المناوي ويؤخذ منه أن اجتماع العامة في بعض أضرحة الأولياء في يوم أو شهر مخصوص من السنة ويقولون هذا يوم مولد الشيخ ويأكلون ويشربون وربما يرقصون فيه منهي عنه شرعا وعلى ولي الشرع ردعهم على ذلك وإنكاره عليهم وإبطاله (عون المعبود-كتاب المناسك باب زيارة القبور-6/23)
“এ হাদিস থেকে বুঝা যায় যে, সাধারণ মানুষ যারা বছরের কোন নির্দিষ্ট মাসে বা দিনে (উরসের নামে) ওলীদের মাযারে একত্রিত হয় এবং বলে-আজ পীর সাহেবের জন্ম বার্ষিকী (মৃত্যু বার্ষিকী), সেখানে তারা পানাহারেরও আয়োজন করে, আবার নাচ গানেরও ব্যবস্থা করে থাকে, এ সবগুলিই শরীয়ত পরিপন্থী ও গর্হিত কাজ। এ সব কাজ প্রশাসনের প্রতিরোধ করা জরুরী। (আউনুল মা’বুদ-৬/২৩)
মাযার ঘিরে বাতি প্রজ্বলন হারাম
عن ابن عباس قال : لعن رسول الله صلى الله عليه و سلم زائرات القبور والمتخذين عليها المساجد والسرج (سنن الترمذى- أبواب الصلاة عن رسول الله صلى الله عليه و سلم ، باب ما جاء في كراهية أن يتخذ على القبر مسجدا-2/136)
“হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত যে, আল্লাহর নবী সাঃ অভিশম্পাত করেছেন (বেপর্দা) কবর যিয়ারতকারীনী মহিলাদের উপর, এবং সেসব লোকদের উপর যারা কবরকে মসজিদ বানায়(কবরকে সেজদা করে) এবং সেখানে বাতি প্রজ্জ্বলিত করে। (জামি তিরমীযী-২/১৩৬)
উক্ত হাদিসে সুষ্পষ্ট কবরে বাতি প্রজ্জ্বলনকারীর উপর আল্লাহ তায়ালার অভিশম্পাত করেছেন রাসূলপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
মাযারে মান্নত করা হারাম
আল্লাহ ছাড়া কারো নামে মান্নত বা কুরবানী করা যায়না। কারণ মান্নত ও কুরবানী হচ্ছে ইবাদত। আর ইবাদত আল্লাহ ছাড়া কারা জন্য করা জায়েজ নয়। মহান রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন-
قُلْ إِنَّ صَلاَتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ (162) لاَ شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَاْ أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ (163) (سورة الأنعام-162-163)
“আপনি বলুনঃ আমার নামায, আমার কুরবানী এবং আমার জীবন ও আমার মরণ বিশ্ব প্রতিপালক আল্লাহর জন্যই। তাঁর কোন অংশিদার নেই। আমি তা-ই করতে আদিষ্ট হয়েছি এবং প্রথম আনুগত্যশীল। (সূরা আনআম-১৬২-১৬৩)
সূরা কাউসার শরীফে মহান রাব্বুর আলামীন বলেন- فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ (২)( অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন এবং কুরবানী করুন। (সূরা কাউসার-২)
আল্লাহ তাআলা আমাদের দ্বীন পালনের নামে বদ্বীনী কাজ করা থেকে হিফাযত করুন। আমীন। ছুম্মা আমীন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

ফরয নামাযের পর হাত তুলে মুনাজাত করা সুন্নাত।


ফরয নামাযের পর হাত তুলে মুনাজাত করা সুন্নাত ।



ফরজ নামাযের পর মুনাজাত করা সুন্নাত। এ ‘মুনাজাত’ নির্ভরযোগ্য হাদীস, ফতওয়া ও ইমামগণের বাণী দ্বারা প্রমাণিত। এ প্রসঙ্গে কয়েকটি আয়াত, হাদীস ও ইমামগণের বাণী নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
আয়াত-১

(سورة البقرة-১৮৬) وَ اِذَا سَاَلَكَ عِبَادِیْ عَنِّیْ فَاِنِّیْ قَرِیْبٌ١ؕ اُجِیْبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ اِذَا دَعَانِ
অর্থ, আমার বান্দারা যখন আপনার কাছে জিজ্ঞাসা করে আমার ব্যাপারে বস্তুতঃ আমি রয়েছি সন্নিকটে। যারা দোয়া করে, তাদের দোয়া কবুল করি যখন আমার কাছে দোয়া করে। (সূরা বাকারা-১৮৬)
আয়াত-২

وَ قَالَ رَبُّكُمُ ادْعُوْنِیْۤ اَسْتَجِبْ لَكُمْ اِنَّ الَّذِیْنَ یَسْتَكْبِرُوْنَ عَنْ عِبَادَتِیْ سَیَدْخُلُوْنَ جَهَنَّمَ دٰخِرِیْنَ۠ ۝۶۰ (سورة المؤمن -৬০)
অর্থ, আপনাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমার কাছে দোয়া করো আমি তোমাদের দোয়া কবুল করবো। যারা আমার এবাদতে (অর্থাৎ দোয়ার ক্ষেত্রে) অহংকার করে তারা সত্বরই জাহান্নামে দাখিল হবে লাঞ্ছিত হয়ে। (সূরা মুমিন-৬০)
হাদীস -৩ [ফরয নামাযের পর মুনাজাত]

(১) عَنْ اَبِي أُمَامَةَ قَالَ: قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ! اَيُّ الدُّعَاءِ اَسْمَعُ قَالَ: جَوْفَ اللَّيْلِ الْآخِرِ وَدُبُرَ الصَّلَوَاتِ الْمَكْتُوبَاتِ ( ترمذي , باب ما جاء في عقد التسبيح, ২/১৮৭, رقم الحديث- ৩৪২১)
(৩) হযরত আবূ উমামা (রা:) থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো, কোন সময়ে দুয়া কবুল হওয়ার বেশী সম্ভাবনা? রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উত্তরে বললেন, ‘শেষ রাতে এবং ফরয নামাযের পরে।’ [তিরমিযী শরীফ ২:১৮৭, হাদীস নং ৩৪২১]
হাদীস -৪ [ফরয নামাযের পর হাত তুলে মুনাজাত]

(২) مُحَمَّدُ بن اَبِي يَحْيَى، قَالَ: رَأْيَتُ عَبْدَ اللَّهِ بن الزُّبَيْرِ، وَرَاَى رَجُلًا رَافِعًا يَدَيْهِ يَدْعُو قَبْلَ اَنْ يَفْرَغَ مِنْ صَلاتِهِ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنْهَا، قَالَ:" اِنََ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَكُنْ يَرْفَعُ يَدَيْهِ، حَتَّى يَفْرَغَ مِنْ صَلاتِهِ" (معجم الكبيري للطبراني- رقم الحديث-৯০; مجمع الزوئد-১০/১৬৯)
(৪) হযরত মুহাম্মাদ ইবনে আবু ইয়াহইয়া (রহ.) বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রা.) দেখলাম যে তিনি একজন নামাজীকে দেখলেন, সে নামাজ শেষ করার আগেই হাত তুলে দোয়া করছেন। তখন তিনি তাকে বললেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজ শেষ হওয়ার আগে হাত তুলে দোয়া করতেন না। (মাজমাউয যাওয়াইদ-১০/১৬৯)
হাদীস -৫ [ফরয নামাযের পর হাত তুলে মুনাজাত]



(৩) عَنْ جَابِرٍ بْنِ يَزِيْدٍ الاَسْوَدِ الْعَامِرِيِّ عَنْ اَبِيْه قَالَ : صَلَّيْتُ مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلْفَجْرَ فَلَمَّا سَلَّمَ اِنْحَرَفَ وَ رَفَعَ يَدَيْهِ وَدَعَا . (منصف ابن ابي شيبه ১/৩৩৭)
(৫) হযরত জাবের ইবনে ইয়াযিদ আল আসওয়াদাল আমেরী (রা) তিনি তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে ফজরের নামাজ পড়লাম। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সালাম ফিরিয়ে ঘুরে বসলেন এবং দুই হাত তুলে দোয়া করলেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা-১/৩৩৭)
হাদীস -৬ [ফরয নামাযের পর মুনাজাত]
হযরত ইবনে আব্বাস (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, যখন তুমি ফরয নামায হতে ফারেগ হবে, তখন দোয়ায় মশগুল হয়ে যাবে।’ [তাফসীরে ইবনে আব্বাস রা: ,৫১৪পৃ]
হাদীস -৭ [ফরয নামাযের পর মুনাজাত]
হযরত কাতাদাহ, যাহ্হাক ও কালবী (রহ:) থেকে বর্ণিত তাঁরা বলেন, ফরয নামায সম্পন্ন করার পর দোয়ায় মশগুল হবে। [তাফসীরে মাযহারী ১০:২৯পৃ:]
হাদীস -৮ [নামাযের পর মুনাজাতে হাত উঠানো]

(৬) عَنْ الْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصَّلاةُ مَثْنَى مَثْنَى تَشَهَّدُ فِي كُلِّ رَكْعَتَيْنِ وَتَخَشَّعُ وَتَضَرَّعُ وَتَمَسْكَنُ وَتَذَرَّعُ وَتُقْنِعُ يَدَيْكَ يَقُولُ تَرْفَعُهُمَا اِلَى رَبِّكَ مُسْتَقْبِلًا بِبُطُونِهِمَا وَجْهَكَ وَتَقُولُ يَا رَبِّ يَا رَبِّ وَمَنْ لَمْ يَفْعَلْ ذَلِكَ فَهُوَ كَذَا وَكَذَا، (سنن الترمذي, باب ما جاء في التخشع, رقم الحديث-৩৫১)
(৮) হযরত ফযল ইবনে আব্বাস (রা:) থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, নামায দুই রাকাত; প্রত্যেক দুই রাকাতে আত্ত্যাহিয়্যাতু পাঠ করতে হয়। ভয়-ভক্তি সহকারে কাতরতা ও বিনীতভাবে নামায আদায় করতে হয়। আর (নামায শেষে) দুই হাত তুলবে এভাবে যে, উভয় হাত আল্লাহ তাআলার দিকে উঠাবে এবং চেহারা কিবলামুখী করবে। অতপর বলবে, হে আল্লাহ! হে আল্লাহ ! (এভাবে দোয়া করবে।) যে ব্যক্তি এরুপ করবে না, সে অসম্পূর্ণ নামাযী। [তিরমিযী শরীফ, ১৮৭, হাদীস নং-৩৫১]।
হাদীস -৭ [মুনাজাতে হাত উঠানো]

(৭) عَنْ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اِنَّ اللَّهَ حَيِيٌّ كَرِيمٌ يَسْتَحْيِي اِذَا رَفَعَ الرَّجُلُ اِلَيْهِ يَدَيْهِ اَنْ يَرُدَّهُمَا صِفْرًا خَائِبَتَيْنِ (ترمذي, باب دعاء النبي صلي الله عيله و سلم, ২/১৯৫, رقم الحديث-৩৪৭৯)
(৯) হযরত সালমান ফারসী রা. থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া বলেছেন, আল্লাহ তাআলা বড় দয়ালু দাতা। যখন বান্দা তাঁর কাছে দোয়ায় হাত উঠায় তখন তিনি তা খালি ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন। (তিরমিযী শরীফ, ২/১৯৫, হাদীস নং-৩৪৭৯)
হাদীস নং-১০ [ইমাম-মুক্তাদীর মুনাজাত]

(৮) عَنْ ثَوْبَانَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لا يَحِلُّ لِامْرِئٍ اَنْ يَنْظُرَ فِي جَوْفِ بَيْتِ امْرِئٍ حَتَّى يَسْتَأْذِنَ فَ اِنْ نَظَرَ فَقَدْ دَخَلَ وَلَا يَؤُمَّ قَوْمًا فَيَخُصَّ نَفْسَهُ بِدَعْوَةٍ دُونَهُمْ فَ اِنْ فَعَلَ فَقَدْ خَانَهُمْ (ترمذي, باب ما جاء في كراهية أن رقم الحديث-৩২৫)
(১০) হযরত সাওবান (রা:) থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কোন ব্যক্তির জন্য উচিত নয় অন্য কারোর ঘরের ভিতরে তাকানো তাদের থেকে অনুমতি নেওয়ার আগে। যদি সে (অনুমতি নেওয়া আগে) তাকায় তাহলে সে খেয়ানত করলো। কোন ব্যক্তি লোকদের ইমাম হয়ে এমন হবে না যে, সে তাদেরকে বাদ দিয়ে দোয়াতে শুধু নিজের জন্যই দোয়া করবে। যদি এরুপ করে, তাহলে সে তাদের সাথে খেয়ানত করল।’ [তিরমিযী শরীফ ১:৮২, হাদীস নং-৩২৫]

(১১) কিছু মানুষ একত্রিত হয়ে দোয়া করা প্রসঙ্গে

(১১) عَنْ سَلْمَانَ رَضِيَ اللَّهُ تَعَالَى عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:"مَا رَفَعَ قَوْمٌ اَكُفَّهُمْ اِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ يَسْاَلُونَهُ شَيْئًا، اِلا كَانَ حَقًّا عَلَى اللَّهِ اَنْ يَضَعَ فِي اَيْدِيهِمُ الَّذِي سَاَلُوهُ". ( معجم الكبيري للطبراني, رقم الحديث-৬০১৯)
(১১) হযরত সালমান (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যখন কিছু লোক হাত তুলে আল্লাহ তাআলার কাছে চায় তখন আল্লাহ তাআলার কাছে (তাদের) হক হয়ে যায় যে, আল্লাহ তাআলা তাদের হাতে তাদের চাওয়ার জিনিস দান করেন। (মুজামুল কাবীর লিত ত্ববরানী-৬০১৯)

মুনাজাতের ব্যাপারে ইমামগণের বাণী
ফরজ নামাজের পর মুনাজাত করা যে সুন্নাত। এটা পূর্বাপর সকল মহান ব্যক্তিদের নিকট নির্ধিদায় স্বীকৃত। এমনকি আহলে হাদীস ও গায়রে মুকাল্লিদ আলেমদের নিকটও সুন্নাত। যেমন,
১. হাফেজ আব্দুল্লাহ রোপড়ী বলেন, ‘ফরজ নামাজের পর হাত তুলে মুনাজাত করার যে প্রচলন রয়েছে তা সঠিক।’ (ফাতাওয়ায়ে আহলে হাদীস-২/১৯০)
২. মিয়া নজীর হুসাইন দেহলভী বলেন, ‘ চিন্তাশীল ব্যক্তিমাত্রই জানেন যে, ফরজ নামাজের পর হাত তুলে মুনাজাত করা জায়েয ও মুস্তাহাব। যায়েদ (যিনি এই মুনাজাতকে বিদআত বলেন সে) ভুল বলেন।’ (ফাতাওয়ায়ে নাজীরিয়াহ-১/৫৬৬)

৩. মাওলানা ছানাউল্লাহ আমৃতসরী বলেন, ‘কোন কোন রেওয়ায়েতে নামাযের পর হাত তুলে মুনাজাত করার কথা রয়েছে।’ (ফাতাওয়ায়ে ছানাইয়্যাহ-১/৫২৭)

Thursday, February 15, 2018

যত্রতত্র ফ্লাইওভার তৈরী করে টাকা অপচয় না করে বাইরের জেলাগুলোকে উন্নত করুন

Image may contain: bridge and outdoor
যত্রতত্র ফ্লাইওভার তৈরী করে টাকা অপচয় না করে বাইরের জেলাগুলোকে উন্নত করুন
==================================
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
فاسئلوا اهل الذكر انكنتم لا تعلمون
অর্থাৎ “(দ্বীনী বা দুনিয়াবী যেকোনো বিষয়) যদি তোমাদের জানা না থাকে তবে আহলে যিকির বা আল্লাহওয়ালাদেরকে জিজ্ঞাসা করে জেনে নাও।”
সরকার ঢাকা শহরের যানজট কমাতে একের পর এক ফ্লাইওভার তৈরী করে যাচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে- ফ্লাইওভারের কারণে ঢাকা শহরের যানজট কমেছে কি? মোটেও কমে নাই। বরং আরো বেড়েছে।
কারণ ফ্লাইওভারের কারণে অনেক রাস্তাই এখন ছোট হয়ে গেছে। ফলে ফ্লাইওভারের নীচে ও উপরে উভয় জায়গাতেই এখন তীব্র যানজট হচ্ছে।
যার বাস্তব প্রমান রাজারবাগ-মগবাজার ফ্লাইওভার। ফ্লাইওভারটি তৈরী হওয়ার পূর্বে মালিবাগ মোড় থেকে শহীদবাগ মোড় পর্যন্ত কখনো এতদীর্ঘ যানজট নজরে পড়েনি। অথচ ফ্লাইওভার উদ্ভোধন হওয়ার পর থেকেই প্রায় প্রতিদিনই ফ্লাইওভারের উপরে ও নীচে মালিবাগ মোড় থেকে শহীদবাগ মোড় পর্যন্ত দীর্ঘ ও তীব্র যানযট লেগেই থাকে।
এতে বুঝা গেল যে, ফ্লাইওভারে মোটেও যানজট কমেনা এবং কমবেও না। সরকার যদি সত্যিই যানজট মুক্ত ঢাকা শহর গড়তে চায়; তবে তাকে সমস্ত শহরগুলোকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। অর্থাৎ অন্যান্য জেলা শহরগুলোকে উন্নত করে, ঢাকা শহরের লোকগুলো উল্লিখিত শহরগুলোতে ছড়িয়ে দিতে হবে। তবেই ঢাকা শহর যানজট মুক্ত হতে পারে নচেৎ নয়।
আর এ ব্যাপারে সঠিক দিক নির্দেশনা যিনি দিতে পারবেন তিনি হচ্ছেন- বর্তমান যামানার মুজাদ্দিদ ইমামুল আইম্মাহ, মুহইউস সুন্নাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি। তাই সরকারের উচিৎ যেকোনো বিষয়ে উনার মূল্যবান পরামর্শ গ্রহণ করা।

উম্মুল মু’মিনীন উনাদের সম্পর্কে অবমাননাকর কথা বলা হচ্ছে, লেখালেখি হচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক!



কিতাবে একটি ঘটনা বর্ণিত আছে। একবার এ ব্যক্তি কোনো একটি মজলিসে বসা ছিলো। তার উপস্থিতিতেই কিছু লোক সেখানে উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের নিয়ে কটূক্তিকর কিছু কথা বললো। লোকটি শুনেও না শুনার ভান করে থাকলো। অত:পর সে বাসায় ফিরে ঘুমিয়ে পড়ার পর স্বপ্নে দেখতে লাগলো- স্বয়ং নূর নবীজি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি লোকটিকে লক্ষ্য করে বলছেন- হে ব্যক্তি উঠো বসো এবং শুনো, তোমার সামনে উম্মুল মু’মিনীন উনাদের শানে কটূক্তি করা হলো, অথচ তুমি কেনো কোনো প্রতিবাদ করোনি কেন? লোকটি এ কথা শুনে- নিজের পক্ষে মিথ্যা সাফাই করে বললো- তার নাকি প্রতিবাদ করার সামর্থ্য ছিলো না। তার এ কথা শুনে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি লোকটিকে বললেন- হে ব্যক্তি, তুমি মিথ্যা কথা বলছো, তোমার প্রতিবাদ করার সামর্থ্য ছিলো, ইচ্ছাকৃতই তুমি প্রতিবাদ করোনি। তোমার এই অপরাধের কারণে তুমি অন্ধ হয়ে যাবে। ঠিকই লোকটি ঘুম থেকে জেগে দেখলো- সে অন্ধ হয়ে গেছে। নাউযুবিল্লাহ!
ঠিক একইভাবে এখন বিশ্বজুড়েতো বটেই, এ দেশেও প্রকাশ্যে দ্বীন ইসলাম উনার বিপক্ষে নূওে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ও উনার সম্মানিত উম্মুল মু’মিনীন উনাদের সম্পর্কে অবমাননকর কথা বলা হচ্ছে, লেখালেখি হচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! অথচ মুসলমানগণ দেখেও না দেখার ভান করে নিজের আখের গোছানোর তালে আছে। নাউযুবিল্লাহ! তাদের এ ধরনের নির্লিপ্ততা, অথর্বতার কারণেই আজ বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের উপর বিধর্মী-অমুসলিমদের নির্যাতনের খড়গ নেমে এসেছে। নাউযুবিল্লাহ! শুধু এইই নয়, বোবা শয়তানের মতো নিশ্চুপ থাকার কারণে তারা প্রকাশ্য অন্ধ না হলেও তাদের অন্তরগুলো অন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে তারাও অমুসলিমদের সাথে মিশে একাকার হচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ!
মূলত প্রকৃত ঈমানদার, মুসলমান হলে কখনো তার পক্ষে এ ধরণের দ্বীন ইসলাম উনার অবমাননাকার বিষয়ে চুপ থাকা সম্ভব নয়।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে আরো বেশি ঈমানী কুওওয়াত ও জজবা দান করুন- যেন আমরা সকল প্রকার দ্বীন ইসলাম উনার বিদ্বেষীদের শক্ত জবাব দিতে পারি। আমীন!

নামায সঠিকভাবে আদায় করলে পাঁচ প্রকার নিয়ামত!



পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,

"যে ব্যক্তি সম্মানিত নামায সঠিকভাবে আদায় করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে পাঁচ প্রকার নিয়ামত দানে সম্মানিত করবেন।

(১) রিযিকের সংকীর্ণতা দূর করে দিবেন।

(২) কবরের আযাব দূর করে দিবেন।

(৩) ক্বিয়ামতের দিন আমলনামা ডান হাতে প্রদান করবেন।

(৪) পুলছিরাত বিদ্যুতের ন্যায় পার করাবেন।

(৫) হিসাব-নিকাশ হতে অব্যাহতি দান করবেন।’ সুবহানাল্লাহ!

মনস্তা‌ত্ত্বিক যুদ্ধ মুসলিম দেশ ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র!



বর্তমান সময়ে বিশ্বজুড়ে সফলতার সাথে যেটা চলছেসেটা হলো ‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ’ বা ‘Psychological warfare’। এ যুদ্ধের দ্বারা খুব সফলতার সাথে সম্রাজ্যবাদীরা একের পর এক দেশ দখল করে যাচ্ছে।
সাবেক কেজিবি এজেন্ট মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ বিশারদ আলেক্সন্ডার ব্রেজমেনভ মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের দ্বারা কোন দেশ দখল করার জন্য
চারটি ধাপ বর্ণনা করেছে।
প্রথম স্টেজ : ডি-মরালাইজেশন বা নৈতিক চরিত্র অবক্ষয়।
দ্বিতীয় স্টেজ : ডি-স্টেবিলাইজেশন বা স্বাভাবিক
পরিবেশকে ভেঙ্গে দেওয়া।
তৃতীয় স্টেজ : ক্রাইসিস বা চরম অস্থিতিশীলতা তৈরী করা।
চতুর্থ স্টেজ : নরমালাইজেশন বা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার নাম
দিয়ে দখল করা।

# প্রথমে ধাপ বা ডি-মরালাইজেশন বা নৈতিক চরিত্র ধ্বংসঃ
এ ধাপে একটা জাতিকে বিভিন্ন বিনোদনের নামে টিভি-সিনেমা,গান-বাজনা, খেলাধূলা, নাটক-সিরিয়ালের নাম দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ডিমরালাইজ করে দেওয়া হয়। ঐ জাতি বাস্তবতা ভূলে সারা দিন বিনোদন নিয়ে নেশাগ্রস্তের মত পরে থাকে। ক্রিকেট খেলা শুরু হলে দিক-বিদিক ভুলে যায়। নাটক-সিরিয়ালে যা দেখে সেটা অনুসারে জীবন গঠন করতে চায়। ব্লগ-ফেসবুকে বার বার ধর্মবিদ্বেষী কথা প্রচার করে ধর্মীয় বাধন (অনুভূতি) তুলে দেওয়া হয়। যেমন - সামু, ধর্মকারী, ইস্টিশন
# দ্বিতীয় ধাপ বা ডি-স্টেবিলাইজেশন বা স্বাভাবিক পরিবেশকে ভেঙ্গে দেওয়াঃ
স্ট্যাবল বা স্থিতিশীল পরিবেশ ভেঙ্গে দেওয়ার নামই হচ্ছে ডি-স্টেবিলাইজেশন। এর অনেক উদাহরণ আছে। সংক্ষেপে একটা উদাহরণ দিচ্ছি। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে যেটা সৃষ্টি হয়েছে এটা একটা ডি- স্টেবিলাইজেশন প্রক্রিয়া। হঠাৎ করে নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা, কথিত সৃজনশীল সিস্টেম চালু করা, ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে এ+ প্রাপ্তরা পাশ না করা, ভর্তি পরীক্ষা না দিয়ে নতুন বিতর্কিত সিস্টেম, হলমার্ক, শেয়ার বাজার, বাংলাদেশ ব্যাংক সহ দেশের কোষাগার লুট করা ইত্যাদির নামে শিক্ষাক্ষেত্রকে ডি-স্টেবিলাইজ বা অস্থিতিশীল করা হয়েছে। এছাড়া আইনবিভাগ, রিয়েল এস্টেট খাত, লবন শিল্প, চিনি শিল্প, ধান, কৃষি শিল্প, রামপাল, তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ সহ সব সেক্টরগুলো অস্থিতিশীল করা হবে। এরপর আরএমজি সেক্টরকে অস্থিতিশীল,
বলাবাহুল্য যেহেতু ঐ জাতিটি নৈতিক ভিত্তিহীন বা ডি-মরালাইজ, তাই সেসকল অপকর্ম বুঝেও কিছুই করতে পারে না।
# তৃতীয় ধাপ বা ক্রাইসিস বা চরম অস্থিতিশীলতাঃ
এটা এক ধরনের যুদ্ধাংদেহী অবস্থা। জাতির নৈতিক চরিত্র না থাকায় এবং পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হওয়ার সুযোগে বহিঃশক্তিধরা ঐ দেশের অভ্যন্তরের দালাল রাজনীতিবিদদের পরষ্পরের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে লাগিয়ে দেয়। শুরু হয় গৃহযুদ্ধ।
যেমন, সাম্প্রতিক সময়ে ভিন্ন দেশের হস্তক্ষেপ কামনা, বিভিন্ন হত্যা।
# চতুর্থ ধাপ বা নরমালাইজেশন বা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার নাম দিয়ে দখল করাঃ
যখন কোন দেশে গৃহযুদ্ধ লেগে যায়, তখন বিশ্ব মোড়ল বা সুপার ফকির দাবিদার সাম্রাজ্যবাদীরা একসাথে বসে, কিভাবে কে কোন দিক দিয়ে ভাগ করবে! বলে অমুক দেশে গৃহযুদ্ধ বিরাজ করছে সেটা বন্ধ করা দরকার (যদিও তারাই সেটা সৃষ্টি করেছে)। তখন তারা শান্তি প্রতিষ্ঠার নাম দিয়ে সৈন্য পাঠায়। এবং নরমালাইজেশনের নাম দিয়ে দেশটা দখল করে নেয়।
যেহেতু ঐ জাতির নৈতিক কোন ভিত্তি নাই, তাই তারা প্রতিবাদ বা বিরোধীতা করার ভাষা হারিয়ে ফেলে। তখন জনগন উল্টো বলতে থাকে, ‘অমুক দেশের কালচার আমার ভালো লাগে, ভালোই হয়েছে অমুক দেশ দখল করেছে’।
এভাবেই সম্রা্জ্যবাদীরা দীর্ঘদিন ধরে প্ল্যান করে একটির পর এক দেশ দখলে কাজ করে যাচ্ছে।

গোল্ডেন রাইসের অবতারণার পিছনের কারণ ইতিহাস ও বাংলাদেশকে ধ্বংস করার টার্গেট!


গোল্ডেন রাইসের অবতারণার পিছনের কারণ ইতিহাস ও বাংলাদেশকে ধ্বংস করার টার্গেট।
বাংলাদেশে ২০১৮ অর্থাৎ এবছরই বাণিজ্যিকভাবে জেনেটিক্যালি মোডিফাইড ধান “গোল্ডেন রাইস” উৎপাদন শুরু হবে। এ নিয়ে দেশব্যাপী বিতর্কের শেষ নেই। সবাই একে প্রাণঘাতী, সর্বনাশা, ষড়যন্ত্রের ফসল ইত্যাদি নামে আখ্যা দিচ্ছেন। কিন্তু কিভাবে এই গোল্ডেন রাইসের উৎপত্তি হলো আর কিভাবে সেটা আমাদের দেশে পৌঁছালো সেটা নিয়েই আজকের এই লিখা।
১৯৭৪ সালে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরী কিসিঞ্জার অনুন্নত দেশগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে আমেরিকার রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বিষয়ক একটি প্রস্তাবনা “National Security Study Memorandum 200” মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের পক্ষ হতে হোয়াইট হাউসে জমা দেয়। সেখানে হেনরী সতর্ক করে যে, অনুন্নত দেশ (যার মধ্যে সে বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করে) এর জনসংখ্যা বৃদ্ধি আমেরিকার নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরুপ। এ জন্য ওই সমস্ত দেশের জনগণের উর্বরতা অথবা “সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা” হ্রাস করার প্রয়োজন। তার এই প্রস্তাবনাকে পরের বছর প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ড মার্কিন অফিসিয়াল পলিসিরুপে গ্রহন করে। (PDF Copy from USAID Site: goo.gl/9YTsEv; দ্বিতীয় চ্যাপ্টার, ৩৪-৩৯ পৃষ্ঠায় লক্ষ্য করুন)
এর পর ১৯৮৪ সালে রকফেলার ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে একটি মিটিংয়ের আয়োজন করা হয় যেখানে আমেরিকান কৃষিবিদদের সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে তারা ফসলের বীজের মধ্যে জেনেটিক্যাল মডিফিকেশন অর্থাৎ জীনগত পরিবর্তন ঘটাবে। অতঃপর রকফেলার ফাউন্ডেশনের অর্থে পরিচালিত হতে থাকে এই গবেষণা। ১৯৯৯ সালে সুইজারল্যান্ডের এক কৃষিবিদ রকফেলার ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় ধানের মধ্যে জীনগত পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়। তারা জরুরী ভিত্তিতে সরকারী অনুমোদন না নিয়েই চীনের বাচ্চাদের মাঝে ওই চালের পরীক্ষা চালায়। তখন এটা নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়, সবাই মনে করে যে এখানেই গোল্ডেন রাইসের সমাপ্তি ঘটবে। (সুত্র: goo.gl/GnYdQk)



কিন্তু সেখানে গোল্ডেন রাইসের ইতি ঘটেনি। আমেরিকার জায়ান্ট কোম্পানি Syngenta ও Monsanto এবং আমেরিকার পররাষ্ট্রীয় সহায়তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান USAID এর যৌথ উদ্যোগে GMO (Genetically Modified Organism) ফসল সারা বিশ্বে বিচ্ছিন্নভাবে প্রবেশ করানোর প্রচেষ্টা চলতেই থাকে। সাথে সাথে চলতে থাকে GMO এর সংক্রমনের ঘটনা। (সুত্র: goo.gl/uvgA7S)
খোদ আমেরিকাতেই ২০১১ সালে Syngenta কোম্পানির নামে ডজন ডজন মামলা হয় যে, সিনজেনটা কোম্পানির চাষকৃত GMO ফসল এর কারণে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত ভুট্টার উপর Contamination অর্থাৎ সংক্রমন হয়েছে। এজন্য চীনা আমদানীকারকরা প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের ভুট্টার শিপমেন্ট বাতিল করে। (সুত্র: goo.gl/31zpH3)
এধরণের ভিন্ন ভিন্ন মামলায় Syngenta কোম্পানি কয়েক’শ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। (সুত্র: goo.gl/MK5Vm2) আবার, GMO ফসল থেকে তৈরীকৃত খাবার শুকরকে খাইয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে এবং শুকরের পাকস্থলীতে অস্বাভাবিক বিষক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। (সুত্র: goo.gl/BGiJmE)
গোল্ডেন রাইস এর সংক্রমনের চরিত্রটি অতি মাত্রায় আগ্রাসী। যে জমিতে গোল্ডেন রাইস চাষ করা হয়, শুধু যে সে জমি অথবা তার আশেপাশের ক্ষেতে এর সংক্রমন হবে- ব্যাপারটা এত সহজ নয়। পানি, মাটির মাধ্যমে তো বটেই, ক্রস পলিনেশন অথবা এক প্রজাতির পরাগ রেণু দ্বারা আরেক প্রজাতির ফসলকে নিষিক্তকরণের প্রক্রিয়া প্রাকৃতিক উপায়ে যে কয়টি মাধ্যমে সংঘটিত হয়, গোল্ডেন রাইসের সংক্রমনও সেই সমস্ত প্রক্রিয়ায় হতে পারে। উদাহরণস্বরুপ- বাতাসে গোল্ডেন রাইসের পরাগ রেণু উড়ে গিয়ে অনেকদুরে অবস্থিত ক্ষেতের ফসলে গিয়ে পড়তে পারে অথবা উড়ন্ত পোকা-মাকড়ের দেহের মাধ্যমেও এই সংক্রমন হতে পারে। অর্থাৎ বাউন্ডারী দিয়ে আলাদাভাবে চাষ করলেও এর সংক্রমনের হাত থেকে বাঁচার উপায় নেই। পরীক্ষা করে সবাই এ ব্যাপারেও একমত হয়েছে যে রাইস অর্থাৎ ধানের মধ্যে এর সংক্রমনের হার সবচেয়ে বেশী। (পড়তে পারেন: goo.gl/h2GdJg)
পুর্বেই বলা হয়েছে যে, Syngenta এবং Monsanto কোম্পানী USAID এর সাথে মিলে গোল্ডেন রাইসের প্রচার-প্রসার করে। এখন আমরা আলোচনা করবো যে, বাংলাদেশে এর কিরুপ প্রভাব পড়বে।
National Security Study Memorandum 200 এর মধ্যে হেনরী কিসিঞ্জার কয়েকটি দেশের নাম উল্লেখ করেছিলো যেগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। পরবর্তীতে এই পলিসির আওতায় যত কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে, সবগুলোতে বাংলাদেশকে অন্যতম টার্গেট রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। ২০০৮ সালে রকফেলার ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট জুডিথ রোডিন বক্তব্য দেয় যে, তারা বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে গোল্ডেন রাইসের সরকারী অনুমোদন প্রাপ্তির জন্য আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (IRRI) কে ফান্ড দিবে। (সুত্র: goo.gl/3dhmWq)
সম্প্রতি মার্কিন সরকারের Feed The Future প্রোগ্রামের টার্গেট লিস্টের ১ নং দেশ হলো বাংলাদেশ। (সুত্র: goo.gl/NS3iG7) মার্কিন সরকার Feed the Future প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে পাঁচ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা U.S. Government Global Food Security Strategy (FY 2017-2021) গ্রহন করেছে। সেখানে তারা যে সমস্ত সহযোগীর মাধ্যমে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে তাদের ব্যাপারে উল্লেখ করেছে। তারা হলো জাতীয় ও স্থানীয় সরকার, এলাকাভিত্তিক ও স্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান, দ্বি-পাক্ষিক দাতা সংস্থা, আন্তর্জাতিক এবং এলাকা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, এনজিও, ধর্ম বিষয়ক সংস্থা, বিভিন্ন পেশাজীবি এবং সামাজিক সমিতি, প্রাইভেট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যারা কৃষি ও সংশ্লিষ্ট পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করে, নারী ও ক্ষুদ্র উৎপাদনকারী, কৃষি গবেষণা ও শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান, ভূমি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য।
পরিকল্পনা মোতাবেক তারা বাংলাদেশের “প্রাণ” কোম্পানির সাথে চুক্তি করেছে এবং $5 million (প্রায় ৪০ কোটি টাকা) ঋণ দিয়েছে যাতে প্রাণ কোম্পানি তাদের প্রোডাক্ট বাজারজাত করতে পারে। (সুত্র: PDF Copy from “Feed The Future” Site: goo.gl/Cy4RKr ; ৯ এবং ৯০ পৃষ্ঠায় লক্ষ্য করুন)
বরাবরের মতো এই প্রোগ্রামের অন্যতম বাস্তবায়নকারী হলো USAID এবং Syngenta কোম্পানী। তারা শুধু বাংলাদেশ নয়, টার্গেট রাষ্ট্রগুলোতে প্রবেশের জন্য কিছু কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। তারা ”Syngenta-USAID Ag Students Connection” বা “সিনজেনটা-ইউএসএআইডি কৃষি শিক্ষার্থী সংযোগ” নামে একটি প্রোগ্রাম শুরু করেছে যেখানে তারা টার্গেট রাষ্ট্রগুলো থেকে কৃষি শিক্ষার্থীদেরকে বাছাই করবে, ট্রেনিং ও বৃত্তি দিবে। ২০১৭ সালে তন্ময় কুমার ঘোষ নামে বাকৃবির এক ছাত্রকে এই প্রোগ্রামে বাছাই করে ভিয়েতনাম নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সুত্র: (goo.gl/52yCbG)

শুধু তাই নয়, Syngenta কোম্পানি বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট এর থেকে ২০১৫ সালে গোল্ডেন রাইস পরীক্ষামূলক উৎপাদনের অনুমোদন নিয়েছে। (সুত্র: goo.gl/U1imKc) আমেরিকার পরে বাংলাদেশই একমাত্র রাষ্ট্র যা গোল্ডেন রাইসকে এরুপ অনুমোদন দিয়েছে। এর পিছনে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে উক্ত ইন্সটিটিউটের তৎকালীন মহাপরিচালক “জীবণ কৃষ্ণ বিশ্বাস”। সবকিছু ঠিক থাকলে এই বছরের মধ্যেই “গোল্ডেন রাইস” সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগে বাংলাদেশের সর্বত্র বাজারজাত করা হবে। (সুত্র: goo.gl/HKQSi8)
পরিশেষে, এখনো বাংলাদেশে গোল্ডেন রাইস বাজারজাতকরণ শুরু হয়নি। আরো হয়ত মাসখানেক সময় পাওয়া যাবে। বাংলাদেশের মানুষের উর্বরতা অর্থাৎ “সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা” এবং বাংলাদেশের কৃষিকে গোল্ডেন রাইসের সংক্রমন থেকে রক্ষা করার জন্য গোল্ডেন রাইসকে কোনক্রমেই বাজারজাত করতে দেওয়া যাবে না। গোল্ডেন রাইসের সংক্রমনের কোন মাত্রা নেই, নেই কোন প্রতিষেধক। একবার ছড়িয়ে গেলে আর কখনো এটা রোধ করা যাবে না। (সুত্র: goo.gl/NDZa1s) এই আশংকায় ফিলিপাইনের কৃষকরা গোল্ডেন রাইসের পরীক্ষামূলক চাষের ক্ষেতকে ধ্বংস করে নিজেদের জীবন বাঁচিয়েছে। (সুত্র: goo.gl/EdL1dg)
এখন, বাংলাদেশের জনগণ কিভাবে নিজেদের বাঁচাবে, সেটাই দেখার বিষয়।

বাহাসের কিছু কিতাব


আপনারা সকলেই মুবাহিছে আযম হযরত মাওলানা রূহুল আমীন বশিরহাটী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার নাম শুনেছেন। উনি অসংখ্য বাহাসে অংশ নিয়েছেন এবং প্রতিটি বাহাসে জয়ী হয়েছেন। উনার বাহাসের বিশয়গুলো মূলত আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদাভুক্ত বিষয়ঃ মীলাদ-ক্বিয়াম শরীফ, মাযহাব উনাদের পক্ষে আর হারাম গান-বাজনা, তাযিমী সিজদাহ এর বিপক্ষে ।
অনেক দিন পর উনার কিছু কিতাব হাতে পেলাম। 

 বাহাসের কিতাবগুলো বাত্বিল ফির্কাদের বিরুদ্ধে অকাট্য দলিল সমৃদ্ধ।

যে কিতাব গুলো আমার সংগ্রহে আছেঃ



১।নবাবপুরে হানাফী বনাম আহলে হাদীছ বাহাস
২।কিশোরগঞ্জে মীলাদ-ক্বিয়ামের বাহাস
৩।লক্ষীপুরের বাহাস
৪।মাইজভান্ডারের বাহাস
৫।রদ্দে বিদয়াত- ২য় খণ্ড
৬।ফুরফুরা শরীফের ইতিহাস ও আবূ বকর সিদ্দিকী ফুরফুরাবী রহমাতুল্লাহি আলাইহির জিবনী
৭।একটি ফতোয়ার রদ
৮। ইজহারুল হক্ব/ কদম্বুছির ফতোয়ার সমালোচনা
৯। ওয়াজ শিক্ষা- ৩,৪ ও ৫ম খণ্ড
১০। অছীয়ত নামা
১১। কাদিয়ানী রদ – ১ম খণ্ড
১২।খন্দকারের ধোকা ভঞ্জন
১২। জরুরী ফতওয়া- ১ম খণ্ড
১৩। তাছাওউফ তত্ত্ব বা তরীক্বত দর্পন
১৪। তারদীদুল মুবতালিন ফি রদ্দে ছায়ফুল মুহাদ্দিছীন
১৫।দাফিউল মুফছেদিন
১৬। দোয়াল্লিন জোয়াল্লীনের মীমাংসা
১৭।নাড়ি কাটার ফতওয়া
১৮। নামাজ শিক্ষা
১৯। নিকাহ ও জানাজা তত্ত্ব
২০।পীর-মুরীদীতত্ত্ব-­১ম খণ্ড
২১। ফতওয়ায়ে আমিনিয়া- ২ও ৩ খণ্ড
২২।ফিরক্বাতুন নাজী
২৩। বাগমারির ফকিরের ধোকাভঞ্জন
২৪। বেহেশত-দোযখের বর্ননা- ২য় খণ্ড
২৫।মিলাদে মোস্তফা- ১ম খণ্ড
২৬। হানাফী ফিক্বহ তত্ত্ব- ২য় খণ্ড

হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপস্থিতিতে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ পাল

হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপস্থিতিতে হযরত ছাহাবায়ে কেরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম গণ ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন।



>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>
মীলাদ শরীফ উনার আমলটা স্বয়ং হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যামানায় সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমগণ উনারা পালন করেছেন !
যেটা সহীহ হাদীস শরীফ উনার কিতাবে এরশাদ মুবারক হয়েছে !!
পবিত্র হাদীস শরীফ সমূহ বর্ননা করেছেন এমন এক ব্যক্তিত্ব যার সম্পর্কে সারা দুনিয়া বাসী সবার আস্থা রয়েছে ! যিনি মুসলমানদের ভিতর সব চাইতে বেশি কিতাব লিখেছেন, যিনি ছিলেন দশম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ , ইসলামের এমন কোন বিষয় নাই যে বিষয়ে তিনি কিতাব লিখেন নাই ! তিনি ছিলেন হাফিযে হাদীস ,তিনি তিন লক্ষ এরও বেশি হাদীস শরীফ এর হাফিয ছিলেন !
তাফসীর শাস্ত্রে উনার ছিল অগাধ ইলিম !
উনাকে তাজুল মুফাসসিরিন বলা হয় ! তিনি ছিলেন যামানার লক্ষস্থল ইমাম ,খাতেমুল হুফ্ফাজ , রয়িসুল মুহাদ্দেসীন , রেজাল শাস্ত্রের বিশেষজ্ঞ!
যিনি জাগ্রত অবস্থায় হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনাকে সত্তর বারের বেশি দেখেছেন ! উনার তাফসীর সমগ্র মাদ্রাসায় পড়ানো হয় ,উনার তাফসীর না পড়ে কেউ মুফাসসির হয় না, তিনি আর কেউ নন, সবার পরিচিত তাফসীরে জালালাইন
শরীফ এর মুসান্নিফ হযরত আল্লামা জালাল উদ্দীন সূয়ুতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি !
উনার সম্পর্কে বলা আছে —
رايت رسول الله صلي الله عليه و سلم في اليقظة بضعا و سبعين مرة
অর্থ : হযরত জালালুদ্দীন সূয়ুতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমি আখেরী রসূল হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জাগ্রত অবস্থায় সত্তর বারের বেশি দেখেছি !”
(আল ইয়াকীতু ওয়াল জাওয়াহের ১ম খন্ড ১৩২ পৃষ্ঠা, দালায়িলুছ ছুলুক)
সেই বিখ্যাত ইমাম, হাফিযে হাদীস, মুজাদ্দিদে জামান জালালুদ্দীন সূয়ুতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিখ্যাত কিতাব “সুবলুল হুদা ফি মাওলেদে মুস্তাফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম” এ দুই খানা হাদীস শরীফ বর্ণনা করেছেন!!!
যার মাধ্যম দিয়ে প্রমাণিত হয় হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তায়ালা আনহুমগণ উনারা ঈদে মীলাদে হবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করেছেন। অতঃপর সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে এ নিয়ম পালিত হয়ে আসছে।
এ প্রসঙ্গে হাদীস শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,–>>
عَنْ حَضْرَتْ اَبِى الدَّرْدَاءِ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ اَنَّهٗ مَرَّ مَعَ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِلٰى بَيْتِ عَامِرِ الاَنْصَارِىّ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ وَكَانَ يُعَلّمُ وَقَائِعَ وِلادَتِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِاَبْنَائِهٖ وَعَشِيْرَتِهٖ وَيَقُوْلُ هٰذَا الْيَوْمَ هٰذَا الْيَوْمَ فَقَالَ عَلَيْهِ الصَّلٰوةُ وَالسَّلامُ اِنَّ اللهَ فَتَحَ لَكَ اَبْوَابَ الرَّحْـمَةِ وَالْمَلائِكَةُ كُلُّهُمْ يَسْتَغْفِرُوْنَ لَكَ مَنْ فَعَلَ فِعْلَكَ نَـجٰى نَـجٰتَكَ
অর্থ : “হযরত আবূ দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, একদা তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে হযরত আমির আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার গৃহে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলেন যে, তিনি উনার সন্তানাদি এবং আত্মীয়-স্বজন, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশী উনাদেরকে নিয়ে আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ সম্পর্কিত মুবারক ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছেন এবং বলছেন, এই দিবস; এই দিবস (অর্থাৎ এই দিবসে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যমীনে তাশরীফ মুবারক এনেছেন এবং ইত্যাদি ইত্যাদি ঘটেছে)। এতদশ্রবণে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তায়ালা উনার মুবারক রহমত উনার দরজা মুবারকসমূহ আপনার জন্য উম্মুক্ত করেছেন এবং সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা আপনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছেন এবং যে কেউ আপনার মত এরূপ কাজ করবে, তিনিও আপনার মত নাযাত (ফযীলত) লাভ করবেন।” সুবহানাল্লাহ!
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ اَنَّهٗ كَانَ يُـحَدّثُ ذَاتَ يَوْمٍ فِىْ بَيْتِه وَقَائِعَ وِلادَتِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِقَوْمٍ، فَيَسْتَبْشِرُوْنَ وَيُـحَمّدُوْنَ اللهَ وَيُصَلُّوْنَ عَلَيْهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاِذَا جَاءَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ حَلَّتْ لَكُمْ شَفَاعَتِىْ
অর্থ : “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি একদা উনার নিজগৃহে সমবেত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ সম্পর্কিত মুবারক ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছিলেন। এতে শ্রবণকারীগণ উনারা আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করছিলেন এবং মহান আল্লাহ পাক উনার প্রশংসা তথা তাসবীহ-তাহলীল মুবারক পাঠ করছিলেন এবং মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি (পবিত্র ছলাত শরীফ-পবিত্র সালাম শরীফ) পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করছিলেন। এমন সময় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তথায় তাশরীফ মুবারক নেন এবং (পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠের অনুষ্ঠান দেখে) বললেন, আপনাদের জন্য আমার শাফায়াত মুবারক ওয়াজিব।” সুবহানাল্লাহ!!
(সুবুলুলহুদা ফী মাওলিদিল মুস্তফা ছল্লাল্লাহুআলাই হি ওয়া সাল্লাম – হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি , মাওলুদুল কবীর -হাফিযে হাদীস , ইমামইবনে হাযর মক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি, আত তানভীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযার -শায়খ হাফিযে হাদীস আবিল খত্তাব ইবনে দাহিয়্যা রহমাতুল্লাহি আলাইহি , দুররুল মুনাযযাম – সপ্তম অধ্যায় – প্রথম পরিচ্ছেদ,ইশবাউল কালাম, হাক্বীকতে মুহাম্মদী মীলাদে আহমদী ৩৫৫ পৃষ্ঠা ।)
সুবহানাল্লাহ্ !!
সুতরাং অকাট্য দলীল দ্বারা প্রমান হলো হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপস্থিতিতে মীলাদ শরীফ হয়েছে এবং তিনি নিজে এই কাজের জন্য কি ফযীলত হবে সেটা বর্ননা করেছেন !!
সুতরাং যারা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধীতা করেন, তারা অপ্রাসঙ্গিক তর্ক না করে পোস্টটা দলীল দ্বারা খন্ডন করুন । দলীল ছাড়া কারো কথা গ্রহনযোগ্য নয় ।